শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৫ অপরাহ্ন
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের আমিরাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সময় মতো স্কুলে এলেও শিক্ষকরা কেউই যথাসময়ে আসেন না। এতে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান,বাড়ছে ঝরে পড়ার সংখ্যা।
ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার(৩১জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।
দেখা যায়, সকাল সোয়া ৯টায় বিদ্যালয়ের অফিস রুমসহ শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলছে।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিদ্যালয়ের দপ্তরি সুমন অফিস ও শ্রেণিকক্ষের তালা খুলছে কিন্তু তখন পর্যন্ত কোন শিক্ষক আসে নি। শিক্ষকদের কথা জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, স্যাররা এখনও আসে নি।
এদিকে লক্ষ্য করা যায়, ক্লাসরুমের বারান্দা ও মাঠে কিছু শিক্ষার্থী খেলছে। তারা জানায়, প্রতিদিন শ্রেণিকক্ষ খোলা না পেয়ে খেলা শুরু করে। পরে ক্লাস শুরু হলে ক্লাসে অংশ নেয়। আবার কাউকে বই হাতে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক এবং পার্শ্ববর্তী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জানান,প্রধান শিক্ষক প্রতিনিয়ত সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে ১১ টার মধ্যে স্কুলে আসেন। আর সহকারী শিক্ষকরা ১০ টার পরপরই উপস্থিত হন।
স্কুলে দেরিতে আসার বিষয়টি স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক নুরুজ্জামান বলেন, আজ স্কুলে মিটিং থাকায় আমার আসতে দেরি হচ্ছে। তবে অন্য শিক্ষকরা এখনও কেন আসেনি সেটা জানা নেই।
সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টার ও উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা আক্তার বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই তাই কোন মন্তব্য করতে পারবো না। আমি সংবাদ নিয়ে দেখি।
ত্রিশালে সদ্য যোগদানকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। সব বিষয়ে এখনও অবগত হইনি। তবে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য সময়সূচি নির্ধারণ করা আছে। কেউ এর ব্যত্যয় ঘটালে বা নির্ধারিত সময়ে বিদ্যালয়ে না আসলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।